ইউরোপে বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস: লিথুয়ানিয়ার ইনভেস্টমেন্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম

ইউরোপে বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস: সুযোগ, প্রক্রিয়া ও সুবিধা

বর্তমান বিশ্বে অনেকেই উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখে থাকেন। আর সেই স্বপ্ন পূরণের অন্যতম পথ হলো ইউরোপে বসবাস। তবে কেবল পর্যটন নয়, ইউরোপে বসবাসের জন্য এখন বিনিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ আসছে যা অনেকের কাছে আকর্ষণীয়। আজ আমরা জানবো ইউরোপে বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাসের উপায়, প্রক্রিয়া এবং এর সুবিধাগুলো সম্পর্কে।

ইউরোপে বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস কী?

বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস (Residence by Investment) হলো একটি প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি ইউরোপের একটি দেশ বা ইউনিয়নের অংশ হিসেবে বিনিয়োগ করলে তিনি এবং তার পরিবার সদস্যরা ঐ দেশে বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন। অনেক দেশ এমন প্রোগ্রাম চালু করেছে যাতে তারা বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করে দেশীয় অর্থনীতিকে উন্নত করে।

কোন কোন দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাসের সুযোগ আছে?

ইউরোপে বেশ কিছু দেশ বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাসের সুযোগ দেয়, যেমন—

  • পোর্তুগাল: ‘Golden Visa’ প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পত্তি বা ব্যবসা বিনিয়োগ করলে বসবাসের অনুমতি দেয়।

  • স্পেন: এখানে রিয়েল এস্টেট বা অন্যান্য বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাসের অনুমতি নেওয়া যায়।

  • গ্রীস: গ্রীসে সম্পত্তি কেনার মাধ্যমে সহজে বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়।

  • মাল্টা ও সাইপ্রাস: এই দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো উচ্চ মূল্যের বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস ও নাগরিকত্বের সুযোগ দেয়।

  • লাটভিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি: এ দেশগুলোতেও বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রোগ্রাম রয়েছে।

বিনিয়োগের ধরন ও পরিমাণ

প্রতিটি দেশের বিনিয়োগের ন্যূনতম পরিমাণ ভিন্ন হয়। সাধারণত বিনিয়োগের ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • রিয়েল এস্টেট ক্রয়: একটি বা একাধিক সম্পত্তি কেনা।

  • ব্যবসায় বিনিয়োগ: কোনো স্থানীয় ব্যবসা শুরু বা এতে অংশ নেওয়া।

  • সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ: সরকারি বন্ড বা ফান্ডে অর্থায়ন।

  • দাতব্য ফান্ডে অনুদান: সরকার নির্ধারিত ফান্ডে অনুদান দেওয়া।

উদাহরণস্বরূপ, পোর্তুগালে বর্তমানে ২৮০,০০০ ইউরো থেকে শুরু করে রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *